রবিবার, মার্চ ১৭, ২০১৩

ইসলামের ইতিহাস বিকৃতি : এবার পঞ্চম শ্রেণীর বইয়ে মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য

মাধ্যমিক স্তরে নবম ও দশম শ্রেণীর ধর্মীয় শিক্ষা বইতে দেবদেবীর নামে উত্সর্গ করা খাদ্য হালাল বলে উল্লেখ করায় ব্যাপক সমালোচনার রেশ না কাটতেই এবার পঞ্চম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইতেও ভুল তথ্য দিয়ে ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রমাণ মিলেছে। ওই বইয়ের ৫৮নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘ইসলাম এত উদার যে, মহানবী (সা.) ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের মদিনা মসজিদে এবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’ 
জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত ও ভারতের কলকাতার ২০ হরচন্দ্র মল্লিক (শোভাবাজার) কৃষ্ণা ট্রেডার্স কর্তৃক মুদ্রিত বিনা মূল্যের এই বইটির রচনা ও সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ তমীযুদ্দীন, অধ্যাপক এবিএম আবদুল মান্নান মিয়া ও মুহাম্মাদ কুরবান আলী। সমন্বয়ক হিসেবে বইটিতে মো. মোসলে উদ্দিন সরকারের নাম উল্লেখ রয়েছে।

রবিবার, মার্চ ১০, ২০১৩

বিরোধীদল দমনে কমিটি করছে সরকার


 বাংলামেইল২৪ডটকম ঢাকা: সন্ত্রাস দমনের নামে কমিটি করে বিরোধীদলকে দমন করার জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তারেক রহমানের সপ্তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ আলোচনার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার যখন সবদিক থেকে ব্যর্থ তখন পাড়ায় মহল্লায় সন্ত্রাস দমন কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার গঠিত কমিটি যদি বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তার প্রতিরোধ করার জন্য আমরাও পাবলিক সেফটি কমিটি করার ঘোষণা করেছি। এতে যদি সংঘাতের সৃষ্টি হয় সেজন্য সরকারই দায়ী থাকবে।’
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ‘আসলে এই সরকার পায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে সংঘাতের দিকে নিতে চায়। জরুরি আইন জারির ক্ষেত্র তৈরি করার জন্যই তারা এই অরাজকতার সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আলেম ওলামাসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই শেখ হাসিনার ব্যর্থ সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না। তাই দেশনেত্রী এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করেছেন। এই সরকারের বিদায় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
তারেক রহমান বিদেশ থেকে ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তাজমেরী এস ইসলাম, ড. পিয়াস করিম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ  হাবিব, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা মিডিয়ার কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তাঁর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকেরা প্রায়ই তাঁর উষ্ণ হূদয়, আপ্যায়ন এবং কৌতুকপ্রিয় স্বভাবের বর্ণনা দিয়ে থাকেন। তিনি মিডিয়াকে কতটা গুরুত্ব দেন তারও একটি বড় প্রমাণ আমরা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁর বিচারকালে দেখতে পাই। সে সময় ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদে সাংবাদিকেরা আদালত বর্জন করলে তিনি এটি একটি গোপন বিচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি এই হুমকিও প্রদান করেন যে সাংবাদিকদের উপস্থিত করার উদ্যোগ না নিলে তিনি শুনানি বর্জন করবেন।
১/১১-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের সে সময়ে সাংবাদিকেরা রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর এবং অন্য রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানির বিশদ বিবরণ তুলে ধরা ছাড়াও সে সময় বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বিভিন্ন টক শোর মাধ্যমে দুই নেত্রীর পক্ষে জনমত পুনরুজ্জীবনের গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিগত সংসদ নির্বাচন চলাকালীন কিছু চ্যানেল দৃশ্যমানভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষাবলম্বনও করে।