শুক্রবার, জুন ২৯, ২০১২

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার গার্ডার ভেঙে পড়েছে।


চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে শুক্রবার দুপুরে একটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। এসময় একজন রিকশাচালক আহত হন। এরপর এ সড়কে যান চলাচল কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার ফলে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ২টার দিকে বহদ্দারহাট ফাইওভারের ২১ থেকে ২২ নং পিলারের মধ্যের গার্ডার ভেঙে পড়ে যায়। এতে একজন রিক্সচালক গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে জুমার নামাজের সময় দূর্ঘটনা ঘটায় বড় কোনো হতহাতের ঘটনা ঘটেনি।
ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষরে (চউক) প্রধান প্রকৌশলী নাসিরউদ্দীন মাহামুদ চৌধুরী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চউকের পরিচালনা পরিষদের মেম্বার মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, কেন গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে এটার অনিয়ম তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চউকের তত্ত্বাবধানে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফাইওভারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। পারিশা এন্টারপ্রাইজ ও মীর আক্তার এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণ কাজ করছে।

কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু’দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০ তে দাঁড়িয়েছে।


রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে সৃষ্ট দুর্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগে বুধবার বিকেল চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৯৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড় ধসে গত রাতে আরো ৫৪ জন প্রাণ হারানোর ফলে বান্দরবান, কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু’দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০ তে দাঁড়িয়েছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর সচিব আসলাম আলম বুধবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “বেলা দেড়টা পর্যন্ত আমরা ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। দুর্যোগকালীন স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার ব্রিগেড ও সেনাবাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।” বর্ষণজনিত দুর্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন
সরকারি সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত কয়েক দফা পাহাড় ধসে বান্দরবানে ৩২ জন, কক্সবাজারে ৩৪ জন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সচিব বলেন, “নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১৩ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৩২ জন নারী-পুরুষ নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। এসব এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় এখনো ১০ জন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। অসংখ্য গবাদি-পশু এবং দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি মাটিতে চাপা পড়েছে।
এ দিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রাত সাতটার পর থেকে চট্টগ্রাম শহরে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। অনেক এলাকায় থেকে পানি সরে গেছে। তবে নিচু এলাকায় পানি রয়েছে।  আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক-সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

বৃহস্পতিবার, জুন ২৮, ২০১২

সোশাল নেটওয়ার্কিংয়ে বেশি আকৃষ্ট মেয়েরাই


                           
দিনদিন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বাড়লেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। খবর টেলিগ্রাফ–এর।

ইউনিভার্সিটি অফ বাথ-এর মনোবিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় জানা গেছে, ছেলেদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা বিভিন্ন বিনোদন, গান, গ্যাম্বলিং এবং গেইমিং সাইটে বেশি থাকলেও মেয়েদের ইন্টারনেট ব্যবহার বিভিন্ন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন টুইটার, ফেইসবুক ও বিভিন্ন ট্রাভেল রিজারভেশন সাইটেই বেশি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড়ে ১১ বছরের শিক্ষার্থীরা দৈনিক প্রায় ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

একটি অনুশীলনের মাধ্যমে ছয়টি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রায় ৫০০ ছাত্র-ছাত্রীর ইন্টারনেট ব্যবহারের তালিকা তৈরি করা হলে প্রাপ্ত  ফলাফল ১০ বছর আগের ফলাফলের মতোই পাওয়া গেছে।

ইউনিভার্সিটি অফ বাথ-এর মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক ড. রিচার্ড জয়নারের মতে, ‘আমাদের আগের গবেষণায় সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে ছেলে-মেয়ের এই ভেদাভেদটি পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করছে যে, মেয়েরাই বেশি সোশাল সাইটগুলো ব্যবহার করে।’

ড. জয়নারের মতে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।   Shimanta Sangbad


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান যদি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু বলে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “যদি উনি (মাহফুজুর রহমান) প্রধানমন্ত্রী সর্ম্পকে কিছু বলে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

লন্ডনে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বাচাল’ বলেন মাহফুজুর রহমান।

সোমবার একটি টেলিভিশনে ওই বক্তৃতার ভিডিও প্রচারের পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওই ভিডিওতে মাহফুজকে বলতে দেখা যায়, ‘আরে, প্রাইম মিনিস্টার কতো না কথা বলেন। প্রাইম মিনিস্টারের বক্তৃতা শুনছেন না, ওইটাও বলছে, আমরা কি ড্রয়িংরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিছি? এইটা হচ্ছে, বেশি কথা বলতে বলতে বাচালের ফট করে একটা মিসটেক হয়ে যায় না, এ রকম একটা মিসটেক হয়ে গেছে।”

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত ২৩ ফেব্র“য়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “সাংবাদিকরা এখন সকলে মিলে আন্দোলন করছেন। কিন্তু, সরকারের পক্ষে তো কারো বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।”

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাগর-রুনির ব্যাপারে আপনারা যেসব মন্তব্য করেন তা নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।”

“কোনো মন্তব্য যদি তদন্ত বাধাগ্রস্ত করে তাহলে আমরা অবশ্যই দেখব”, যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “আমি আপনাদের কাছেই জানতে চাইছি- জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা কে করেছে? ”

“সাংবাদিকদের ওপর হামলা সাংবাদিকরাই করেছেন। আপনাদের ওপর যদি হামলা হয় তাহলে আপনারা থানায় অভিযোগ করবেন। যদি কেউ অভিযোগ দেন তাহলে তো আমরা অবশ্যই দেখব”, বলেন মন্ত্রী।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার সময় মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে কর্মসুচি চাওয়ায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক নেতাকে মারধর করে এটিএন বাংলার একদল সাংবাদিক।

ওই ঘটনায় এটিএন বাংলার নয়জনসহ ১০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। পাশাপাশি মাহফুজুর রহমানকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজের বাসায় খুন হন সাগর ও রুনি। এরপর প্রায় চার মাসেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

                                                                 ShimantaSangbad

বৃহস্পতিবার, জুন ২১, ২০১২

এক নজরে চট্রগ্রাম জেলা।



1.

আয়তন

৫২৮৩ বর্গ কি:মি:

2.

অবস্থান

উত্তরে ফেনী জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা, পূর্বে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর।

3.

প্রশাসনিক বিবরণ

(ক)

সিটি কর্পোরেশন

১টি (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন)

(খ)

উপজেলা

১৪টি (মীরসরাই, সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া)।

(গ)

থানা

১৫টি

(ঘ)

মেট্টোপলিটন থানা

১২টি

(ঙ)

সংসদ নির্বাচনী এলাকা

১৬টি

(চ)

পৌরসভা

১০টি

(ছ)

ইউনিয়ন

১৯৫টি

(জ)

গ্রাম

১৩২৯টি

(ঝ)

মৌজা

১০৭৬টি

4.

লোকসংখ্যা সংক্রান্ত

(ক)

লোকসংখ্যা

৬৯,৪১,২৭৮ জন (পুরুষ ৫৩%, মহিলা ৪৭%)

(খ)

লোকসংখ্যা (চট্টগ্রাম মহানগর)

৩২,০২,৭১০ জন

(গ)

লোকসংখ্যার ঘনত্ব

১২২০ জন প্রতি বর্গ কি:মি:

5.

জমি সংক্রান্ত

(ক)

মোট জমির পরিমাণ

১,২৩,০৫,৪৪৬ একর

(খ)

আবাদী জমির পরিমাণ

৫,৮৮,০৭৯ একর

(গ)

অকৃষি জমির পরিমাণ

১,১২,৩১৪.৫৭ একর

(ঘ)

পাহাড়ী জমির পরিমাণ

৩,৭৩,৯৩০ একর

(ঙ)

কৃষি খাস জমির পরিমাণ

৪৪,৩৫০.৫৩৫ একর

6.

নদী

৩টি (কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু)

7.

শিক্ষা সংক্রান্ত

শিক্ষিতের হার

৫৪% (পুরুষ ৬৩%, মহিলা ৪৫%)

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

(ক)

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

১৬৩৪ টি

(খ)

রেজিঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

৩১৮ টি

(গ)

নন রেজিঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

৩০ টি

(ঘ)

মাধ্যমিক সরকারী বিদ্যালয়

১৩ টি

(ঙ)

স্কুল এন্ড কলেজ (স্কুল সেকশান)

২৯ টি

(চ)

বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

৬৩২ টি

(ছ)

বেসরকারী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়

৩২ টি

(জ)

মোট কলেজ

১২৩ টি

(ঝ)

মোট মাদ্রাসা

৩২১ টি

(ঞ)

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

০২ টি

(ট)

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়

০৪ টি

(ঠ)

মেডিকেল কলেজ

০২ টি

(ড)

আইন কলেজ

০১ টি

8.

জেলায় কর্মরত এনজিও

১১৪ টি

9.

সমবায় সমিতি

৪৯৮৫ টি

10.

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত

(ক)

হাসপাতাল

১৫ টি

(খ)

থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১৪ টি

(গ)

পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র

২৩ টি

11.

শিল্প প্রতিষ্টান সংক্রান্ত

(ক)

ভারী শিল্প

৩২৮ টি

(খ)

ক্ষুদ্র শিল্প

৪৩২৩ টি

(গ)

উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প (সীতাকুন্ড), ইস্টার্ণ রিফাইনারী, কাফকো, সিইউএফএল, টিএইচপি কমপ্লেক্স, পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ, যমুনা অয়েল, পিএইচ পি ফ্লোট গ্লাস, ইউনিলিভার, গ্লাক্সো, ইত্যাদি।

(ঘ)

পাটকল

০৮ টি (০২ টি লে-অফ ঘোষিত)

পাটকলে শ্রমিক সংখ্যা

১০,৬৯৪ জন

(ঙ)

সরকারী বস্ত্রকল

০৫ টি

(চ)

সিমেন্ট ফ্যাক্টরী

০৯ টি

(ছ)

গামেন্টস ফ্যাক্টরী

৬৪৭ টি

(জ)

ইপিজেড

০২ টি

12.

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

০১ টি

13.

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিটিভি (চট্টগ্রাম কেন্দ্র), বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী (বিএমএ), মেরিন একাডেমী, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব, ইত্যাদি।

14.

দর্শনীয় স্থান

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, হযরত শাহ আমানত (রঃ) ও হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) এর মাজার, নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, ওয়ার সিমেট্রি, বাটালী হিল, চন্দ্রনাথ পাহাড় (সীতাকুন্ড), বাঁশখালী ইকোপার্ক, পার্কি সী বীচ (আনোয়ারা), ইত্যাদি।

সত্য ও সুন্দরের মুখোমুখি। সীমান্ত সংবাদ

https://www.facebook.com/ShimantaSangbad
ফেজবুকে আমাদের সাথে থাকুন।

“তারা আমার বাবাকে মন্দির থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে,


১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করেন বলে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন নিহতের ছেলে।

প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্যে বলেন, বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যার কথা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে জানিয়েছিলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নূতন চন্দ্র নিজে দেশে থেকে গেলেও সন্তানদের ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে পঞ্চম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন সত্তরোর্ধ্ব প্রফুল্ল।

তিনি বলেন, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে কুণ্ডেশ্বরীতে তাদের বাসভবনে ঢুকে তার বাবাকে হত্যা করেন।

“তারা আমার বাবাকে মন্দির থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে, তিনি তখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাকে তিনটি গুলি করেন।”

ব্রজহরি নামের নূতন চন্দ্রের এক শুভান্যুধায়ীর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা শোনার কথা ট্রাইব্যুনালকে জানান প্রফুল্ল।

“ব্রজহরি সেখানে ছিলেন এবং বাড়ি ছাড়ার জন্য বাবাকে তিনি বোঝাচ্ছিলেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও পাকিস্তানি সৈন্যরা বাড়িতে ঢুকলে লুকিয়ে পড়েন ব্রজহরি। তিনি এমন এক জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন, যেখান থেকে সব দেখতে পেয়েছিলেন।”

এর আগে গত ৪ জুন আরেক সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে জানান, তিনি সালাউদ্দিন কাদেরকে পাকিস্তানি সৈন্যদের নিয়ে কুণ্ডেশ্বীতে ঢুকতে দেখেন এবং এরপরই গুলির শব্দ পান।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে নূতন চন্দ্র সিংহ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর রোষানলে পড়েন বলে দাবি করেন প্রফুল্ল।

পাকিস্তান গণপরিষদের স্পিকার ও মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদেরকে স্বাধীনতার পর বন্দি করা হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই মৃত্যু হয় তার।

চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় ও কুণ্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন সিংকে হত্যাসহ একাত্তরে মানবতাবিরোধী ২৩টি অপরাধের ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদেরের বিচার চলছে।

প্রফুল্ল চন্দ্র সিং জানান, ১৯৭০ এর নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবির পর থেকে ফজলুল কাদের চৌধুরী তার বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

“আমরা ছিলাম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়। প্রতি নির্বাচনের আগে ফজলুল কাদের চৌধুরী ওই এলাকায় আসতেন এবং বলতেন ‘তোমরা ভোট দেবে, ঠিক...তাই তোমরা ভোট কেন্দ্রে যেয়ো না। তাহলেই আমি বুঝব, তোমরা আমাকে ভোট দিয়েছ।”

“কেউ তার নির্দেশ অমান্য করলে আমাদের ওপর নির্যাতন করা হতো,” বলেন তিনি।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাউজানে গিয়ে নূতন চন্দ্র সিংহের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এতেও ফজলুল কাদের চৌধুরী ক্ষুব্ধ হন বলে জানান প্রফুল্ল।

মুসলিম লীগের প্রার্থী ফজলুল কাদের চৌধুরী সত্তরের ওই নির্বাচনের আগের রাতে তিনবার তাদের এলাকায় যান বলে জানান তিনি।

প্রফুল্ল ট্রাইব্যুনালে বলেন, ফজলুল কাদের তার বাবাকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উচ্চারণে বলেছিলেন, “তুমি কি পাগল হয়ে গেছ?”

গত বছরের ১৪ নভেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করে প্রসিকিউশন। এর তিনদিন পর অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পাঁচ দিন আগে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।


Shimanta Sangbad