শুক্রবার, জুন ২৯, ২০১২

কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু’দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০ তে দাঁড়িয়েছে।


রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে সৃষ্ট দুর্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগে বুধবার বিকেল চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৯৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড় ধসে গত রাতে আরো ৫৪ জন প্রাণ হারানোর ফলে বান্দরবান, কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু’দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০ তে দাঁড়িয়েছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর সচিব আসলাম আলম বুধবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “বেলা দেড়টা পর্যন্ত আমরা ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। দুর্যোগকালীন স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার ব্রিগেড ও সেনাবাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।” বর্ষণজনিত দুর্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন
সরকারি সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত কয়েক দফা পাহাড় ধসে বান্দরবানে ৩২ জন, কক্সবাজারে ৩৪ জন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সচিব বলেন, “নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১৩ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৩২ জন নারী-পুরুষ নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। এসব এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় এখনো ১০ জন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। অসংখ্য গবাদি-পশু এবং দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি মাটিতে চাপা পড়েছে।
এ দিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রাত সাতটার পর থেকে চট্টগ্রাম শহরে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। অনেক এলাকায় থেকে পানি সরে গেছে। তবে নিচু এলাকায় পানি রয়েছে।  আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক-সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন