চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির টেন্ডার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বার হাউজের সামনে ব্যবসায়ী ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশের শুরুতেই মহিউদ্দিনের সমর্থকরা চেম্বার ভবনে ব্যাপক ভাংচুর ও আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের উপর হামলা চালায়।
সম্প্রতি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম কটুক্তি করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে দুটি মামলা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বারের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় ১৪ দল। একই স্থানে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় চট্টগ্রাম চেম্বারের ব্যবসায়ীরা।
এরই মধ্যে সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম চেম্বার ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন সাংসদ লতিফ, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম ও তাদের সমর্থকরা। এতে অভিযোগ করা হয়, ১৪ দলীয় জোট, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর এলাকায় আন্দোলনের নামে ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছেন।
চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুল আলম তালুকদারসহ কয়েকজন পরিচালকও এ সভায় অংশ নেন।
সমাবেশ চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আশেপাশের এলাকা ঘিরে রাখলেও বেলা ১১টার দিকে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের প্রায় পাঁচশ অনুসারী পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে লঠিসোটা নিয়ে চেম্বারের সমাবেশে চড়াও হয়। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন সাংসদ লতিফ।
হামলাকারীরা চেম্বার ভবনের জানালার কাচও ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে পুলিশের সহায়তায় লতিফ, মোরশেদ মুরাদসহ পরিচালকরা চেম্বারের ভেতরে ঢুকে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। আর চেম্বার ফটকের সামনের এলাকা দখল নিয়ে সেখানে সমাবেশ শুরু করে মহিউদ্দিন সমর্থকরা।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম বেলায়েত হোসেন, নগর যুবলীগের সভাপতি চন্দন ধর, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, নগর স্বেচ্ছাসেব লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিনও এই সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার স্ত্রী মাহজাবীন মোরশেদ জাতীয় পার্টি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনকে ঘিরে চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধ সৃষ্টি হয়।এর জের ধরে সম্প্রতি উভয়পক্ষ বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে একে অপরকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলছেন।
সর্বশেষ মহিউদ্দিনকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে দুটি মানহানির মামলা দায়ের হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন