লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা ও প্রতারণা করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিসত্মারিত জানান।-বিডিনিউসচিব বলেন, এ প্রসত্মাবটি ‘ডাইরেক্ট সেল আইন ২০১২’ নামে মন্ত্রিসভায় তোলা হলেও মন্ত্রিসভা নাম বদলে ‘মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’ করে এই খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এখন এটি যাচাই বাছাই এবং মতামত নেওয়ার (ভেটিং) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে প্রয়োজনে আইনটির নামে আরো পরিবর্তন আসতে পারে। এরপর আবারো মন্ত্রিসভায় তোলা হবে চূড়ামত্ম অনুমোদনের জন্য। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করলে তিন থেকে পাঁচ বছর কারাদ- ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। আর কোনো কোম্পানি মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করলে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদ- এবং প্রতারিত ব্যক্তির ক্ষতির দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা করা যাবে। এছাড়া এ ব্যবসার কোনো কোম্পানি বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে খসড়ায় ছয় মাস থেকে এক বছরের কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান সচিব।
মোশাররফ হোসাইন জানান, ‘‘দেশে এতোদিন ধরে এমএলএম ব্যবসা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন ছিল না। এতে প্রতারণা ও অপব্যবহার হচ্ছিল। তাই একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইনটি অনুমোদন হলে এ ধরনের প্রতারণা ও অপব্যবহার বন্ধ হবে।’’
তিনি জানান, প্রসত্মাবিত আইনের ১৪টি অধ্যায়ে ৪৮টি ধারা ও দুটি তফসিল থাকছে। এতে কোম্পানি নিবন্ধন, পরিচালনার শর্ত, ব্যবসার ধরন, কোন কোন ধরনের পণ্যের ব্যবসা করা যাবে অথবা যাবে না এবং শাস্তির বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে এমএলএম ব্যবসা চালাদে নির্দিষ্ট দলিলপত্রসহ লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। কর্তৃপক্ষ নথিপত্র বিবেচনা করে লাইসেন্স দেবে।
লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর আওতায় সনদধারী প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে। যেসব কোম্পানি আইন প্রণয়নের আগেই এমএলএম ব্যবসায় জড়িত, তাদেরও আইন জারির ৯০ দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে এসব কোম্পানিকে প্রত্যেক বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। এতে বলা হয়েছে, এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহস্থালীর পণ্য, বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী, হারবাল পণ্য, টেলিকম সামগ্রী এবং কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারবে। এর বাইরে কোনো পণ্য বিক্রি বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে কোনো অর্থ গ্রহণ বা প্রতারণা করতে পারবে না।
এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত সব কোম্পানিকে বছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সরকার বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে কোনো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে পারবে। প্রয়োজনে কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধও করে দিতে পারবে সরকার
।
এখন এটি যাচাই বাছাই এবং মতামত নেওয়ার (ভেটিং) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে প্রয়োজনে আইনটির নামে আরো পরিবর্তন আসতে পারে। এরপর আবারো মন্ত্রিসভায় তোলা হবে চূড়ামত্ম অনুমোদনের জন্য। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করলে তিন থেকে পাঁচ বছর কারাদ- ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। আর কোনো কোম্পানি মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করলে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদ- এবং প্রতারিত ব্যক্তির ক্ষতির দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা করা যাবে। এছাড়া এ ব্যবসার কোনো কোম্পানি বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে খসড়ায় ছয় মাস থেকে এক বছরের কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান সচিব।
মোশাররফ হোসাইন জানান, ‘‘দেশে এতোদিন ধরে এমএলএম ব্যবসা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন ছিল না। এতে প্রতারণা ও অপব্যবহার হচ্ছিল। তাই একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইনটি অনুমোদন হলে এ ধরনের প্রতারণা ও অপব্যবহার বন্ধ হবে।’’
তিনি জানান, প্রসত্মাবিত আইনের ১৪টি অধ্যায়ে ৪৮টি ধারা ও দুটি তফসিল থাকছে। এতে কোম্পানি নিবন্ধন, পরিচালনার শর্ত, ব্যবসার ধরন, কোন কোন ধরনের পণ্যের ব্যবসা করা যাবে অথবা যাবে না এবং শাস্তির বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে এমএলএম ব্যবসা চালাদে নির্দিষ্ট দলিলপত্রসহ লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। কর্তৃপক্ষ নথিপত্র বিবেচনা করে লাইসেন্স দেবে।
লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর আওতায় সনদধারী প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে। যেসব কোম্পানি আইন প্রণয়নের আগেই এমএলএম ব্যবসায় জড়িত, তাদেরও আইন জারির ৯০ দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে এসব কোম্পানিকে প্রত্যেক বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। এতে বলা হয়েছে, এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহস্থালীর পণ্য, বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী, হারবাল পণ্য, টেলিকম সামগ্রী এবং কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারবে। এর বাইরে কোনো পণ্য বিক্রি বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে কোনো অর্থ গ্রহণ বা প্রতারণা করতে পারবে না।
এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত সব কোম্পানিকে বছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সরকার বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে কোনো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে পারবে। প্রয়োজনে কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধও করে দিতে পারবে সরকার
।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন