শনিবার, আগস্ট ১১, ২০১২

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিরোধ নিরসন হচ্ছে!


চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিরোধ নিরসন হচ্ছে! ফের ঐক্যের সুর দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডও বিরোধ নিরসনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নগর সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি’র বাসায় যান। গতকাল রাতে গেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিনের বাসায়। জাতীয় শোক দিবসের সভার দাওয়াত দেয়ার আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হলেও মূলত এটি ঐক্য প্রক্রিয়ারই অংশ।
১৫ আগস্ট নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উভয় গ্রুপের নেতাদের এক প্রকার নিশ্চিত।
এ ঐক্য প্রক্রিয়া তৃণমূল নেতারা ঈদের আগে আরেক ঈদের আনন্দ বলে মত দিয়েছেন। এ ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে ঐদের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দলীয় সূত্রে জানা যায়, নগর আওয়ামী লীগের বিরোধের কারনে সাংগঠনিকভাবে দল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধারণা দেয়া হয়। কয়েকদিন আগেই এ ধারণা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতারা তাঁকে বুঝাতে সক্ষম যে, বিরোধ নিরসন না হলে আগামী নির্বাচনে এর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। যা আওয়ামী লীগের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হবে। এরি প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি’র সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাঁরা বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ নিতে কঠোর নির্দেশনা দেন। যে কোন উপায়ে বিরোধী গ্রুপের নেতাদের সাথে সমঝোতা করার নির্দেশ দেন। যেসব নেতা ঐক্যের বিরোধীতা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ গ্রহন করেন। জানা যায়, নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে  ১৫ আগস্ট মুসলিম হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি। সভাপতিত্ব করবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ সভায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানানোর আড়ালে বিরোধী গ্রুপের নেতাদের মান ভাঙ্গাতে তাঁদের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি তাঁর কোন অনুসারি নেতাকে সঙ্গে না নিয়ে একাই যাচ্ছেন তাঁদের বাসায়। এরি অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংসদ নুরুল ইসরাম বিএসসি’র খুলশীর বাসায় যান। সেখানে বিএসসি আন্তরিকতার সাথে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অভ্যর্থনা জানান এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। বাসায় আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন বিএসসি। তাঁরা দু’জনে ৩০ মিনিট ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয় ছাড়াও নগর কমিটি নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। তবে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, কমিটি গঠনের বিষয়টি নেত্রীর এখতিয়ার। এদিকে গতকাল রাতে মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আফসারুল আমিনের বাসায় যান। ইফতার ও নামাজ শেষে রাত ৮টায় তিনি একা গাড়ির ড্রাইভারকে নিয়ে বের হন। সাড়ে ৮টায় তিনি মন্ত্রীর বাসায় পৌঁছেন। মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে ভেতরে নিয়ে যান। তাঁকে বেশ কয়েকটি আইটেম দিয়ে আপ্যায়ন করতে দেয়া হয়। এরপর ভেতরের রুমে তাঁদের দু’জনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সোয়া ৯টা পর্যন্ত ঘণ্টা ব্যাপী তাঁরা দু’জনে বৈঠক করেন। বৈঠকে ১৫ আগস্টের কর্মসূচি ছাড়াও আন্দোলন মোকাবেলা ও কমিটি নিয়েও আলোচনা করা হয়। পরে ডা. আফসারুল আমিন বলেন, উনি এখানে এসে উদারতা দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। যে মত পার্থক্য রয়েছে তা সহসা মিটে যাবে। তিনি বলেন, সকলে মিলে প্রতিক্রিয়াশঅরদের মোকাবেলা করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের কমৃসূচির আমন্ত্রণ জানাতে তিনি এসেছেন। তিনি উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, কমৃসূচিতে যোগদানের বিষয়টি ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিটি করবেন দলের নেত্রী। তিনি যা করার করবেন। জানা যায়, নিছক ১৫ আগস্টের কর্মসূচিতে যোগদানের আমন্ত্রণ জানাতে বিরোধী নেতাদের বাসায় যাচ্ছেন না মহিউদ্দিন চৌধুরী। হাই কমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধী গ্রুপের নেতাদের মান ভাঙ্গাতে এবং বিরোধ মেটাতে তিনি তাঁদের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন। অনেকের ধারণা এবার হয়ত তাদের বিরোধ মিটতে পারে। সূত্র জানায়, ডা.আফসারুল-বিএসসি অনুসারিরা চান নগর কমিটি পুর্নগঠন বা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হোক। এভাবে অপূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চালাতে তারা আগ্রহী নন। এছাড়া মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতারও অবসান চান তারা। উভয় গ্রুপের যোগ্য নেতারা যাতে কমিটিতে স্থান পান সেটাই চান আফসারুল-বিএসসি গ্রুপের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, হাই কমান্ডের নির্দেশে ও ১৫ আগস্টের কর্মসূচিকে সামনে রেখে উভয় গ্রুপের বিরোধ অনেকটা কমে আসতে পারে। অন্তত পাল্টা কোন কর্মসূচি না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানান এক নেতা। ঐক্য প্রক্রিয়াও এগিয়ে যেতে পারে বলে ওই নেতা জানান। ১৫ আগস্টের কর্মসূচিতে যেতে পারেন মহিউদ্দিন বিরোধী গ্রুপের নেতারা। সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি এ ধরনের আভাস দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, তাঁর অনুসারিদের সাথে আলোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান। জানা যায়, উভয় গ্রুপের নেতাদের মধ্যে দুরত্ব কমে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে পারেন। ঈদের পর যে কোন সময় এ কমিটি ঘোষনা করতে পারেন দলীয় প্রধান।মহিউদ্দিন চৌধুরীর তাঁর বিরোধী গ্রুপের নেতাদের বাসায় যাওয়া এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেয়াকে তৃণমূল নেতাদের অনেকে এটাকে ঈদের আনন্দের সাথে তুলনা করেছেন। নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এডবোকেট ইব্রাহমি হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, আমরা এক সাথে কাজ করতে চাই। বড় দলে ভুল বুঝাবুঝি হয় তা আবার নিরসন হয়। আমরা ফোরামে বসে সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়। কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বিরোধ চাই না। এক সাথে কাজ করতে চাই। যত তাড়াতাড়ি হয় ততই আমরা খুশি। পূর্ব হালিশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ বলেন, এ ঐক্য প্রক্রিয়া ঈদের আনন্দের মত লাগছে আমাদের। আমরা সবাই এক হয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবেলা করতে চাই। মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সভাপতি ও কাজী ইনামুল হক দানু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই থেকে ২১ সদস্যের কমিটি দিয়েই কার্যক্রম চলে আসছে। ৬ বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে চরম কোন্দল বিরাজ করছে। বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগ দু’টি ধারায় বিভক্ত। একটি ধারায় রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, অপর ধারায় রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন ও সহ সভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি।  দলীয় সূত্র জানা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের বিরোধ মিমাংসায় এর আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতারা উদ্যোগ নিয়েও সফল হননি। বিরোধ মীমাংসায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে দু’দফা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি এ নিয়ে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বৈঠকও করেন। বৈঠকে দিক নির্দেশনাও দেন বেশ কিছু। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করার পরও কাজ হয়নি। জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে মত বিনিময় করেন। ওই মত বিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন তিনি পূর্ণাঙ্গ নগর কমিটি করে দেবেন। তার এ ঘোষণার পর বিবদমান দুগ্রুপের নেতাদের মধ্যে বরফ গলতে থাকে। মহিউদ্দিন বিরোধীদের মধ্যে ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রী কমিটি পুর্নগঠন করবেন। এরপর ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী জনসভাকে ঘিরে ঐক্যের কাছাকাছি পৌঁছেন বিবদমান দু’গ্রুপের নেতারা। জনসভার প্রস্ত্ততি সভায় উভয় গ্রুপের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দ’ুগ্রুপের নেতারা মিলে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক সভা সমাবেশ করেন। এছাড়া নবনিযুক্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উভয় গ্রুপের নেতারা এক কাতারে ছিলেন। তাদের সকলের মুখে ছিল ঐক্যের সুর। সকলের ধারণা ছিল সাংসদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন। তার মধ্যস্থতায় হয়ত ঐক্য গড়ে উঠবে। কিন্তু তার আর হয়ে উঠেনি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর ফের আলাদা হয়ে যায় দ’গ্রুপ। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভা সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁর বিরোধী গ্রুপের নেতারা অনুপস্থিত থাকেন। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত দু’গ্রুপ ফের আলাদা অবস্থান করছেন। তবে মহিউদ্দিন বিরোধীরা সভা সমাবেশে যোগ না দিলেও আলাদা কোন কর্মসূচি পালন করছেন না। উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নগর আওয়ামী লীগে বিভক্তি দেয়া দেয়। মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে নির্বাচন পর্যন্ত সকল কার্যক্রমে নুরুল ইসলাম বিএসসি’র বিরোধীতার অভিযোগ করা হয় মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তাঁর অনুসারিদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও সাংসদ ডা. আফসারুল আমিন ও সাংসদ বিএসসি’র বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন মহিউদ্দিন ও তাঁর অনুসারিরা। উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময় থেকেই নগর আওয়ামী লীগে বিরোধ চরম আকার ধারন করে। পরবর্তীতে তা আরো প্রকট আকার ধারন করে। বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগ দু’ধারায় বিভক্ত। এক ধারার নেতৃত্বে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, এবং অপর ধারার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা: আফসারুল আমিন ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি। আফসারুল-ুবিএসসি গ্রপের অভিযোগ হচ্ছে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক দানু এবং তাদের অনুসারিরা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীকের বিরোধীতা করেছেন। অপরদিকে মহিউদ্দিন-দানু অংশের অভিযোগ হচ্ছে আফসারুল- বিএসসি অংশের নেতারা বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধীতা করেছেন । এ কারণে তিনি মেয়র নির্বাচিত হতে পারেননি। এ ছাড়া এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্বে গঠনতন্ত্র ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনেন। তারা প্রকাশ্য সভা সমাবেশে বিষোদগার করতে থাকেন। এমনকি এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্বে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত করেন। মহিউদ্দিন-দানু গ্রুপ তাদের বিরোধী গ্রুপের ৫ শীর্ষ নেতাকে শো কজ করেন। অপরদিকে  আফসারুল -বিএসসি গ্রুপের এক বর্ধিত সভায় নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক দানুকে অব্যাহতি দেন। এরি মধ্যে নগর আওয়ামী লীগে মেরু করণ ঘটেছে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আব্দুচ ছালাম আফসারুল-বিএসসি ধারায় যোগ দেন আর আফসারুল-বিএসসি অনুসারি প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন মহিউদ্দিন-দানু ধারায় যুক্ত হন। নগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমুহে আলাদা গ্রুপ নিয়ে আ জ ম নাছিরের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। বর্তমানে মহিউদ্দিন-দানু নেতৃত্বাধীন ধারার সাথে রয়েছেন মো. ইসহাক মিয়া, সাংসদ এম এ লতিফ, মাহতাব ইদ্দিন চৌধুরী, নইম উদ্দিন আহমদ, খোরশেদ আলম সুজন, বদিউল আলম, আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমূখ। অপরদিকে আফসারুল-বিএসসি নেতৃত্বাধীন অংশে রয়েছেন এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন বাবুল, রেজাউল করিম চৌধুরী, আব্দুচ ছালাম, জামসেদুল আলম চৌধুরী, তারেক সোলায়মান সেলিম, জালাল উদ্দিন ইকবাল, কে বি এম শাহজাহান, গিয়াস উদ্দিন প্রমূখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন