এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী |
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি চট্টগ্রামের সকল নেতাকর্মীদেরকে বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে আসার আহবান জানিয়ে বলেছেন, অভিমান করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। ঐক্য হতেই হবে, ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। মহানগর আওয়ামী লীগের বিভেদের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে। যারা ভুল বুঝে বসে আছেন, তারা বাইরে নয় ঘরে এসে (মহানগর আওয়ামী লীগের প্ল্যাটফর্মে)কথা বলতে হবে। আর নয় বিভেদ, আর নয় দলাদলি। দলের স্বার্থে এখনই আমাদের সকলকে এম মঞ্চে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত। নিজেদের বিভেদের কারণে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগে যেভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাতে সকলকে অবশ্যই এক মঞ্চে আসতে হবে। আমরা সবাই নেতা হতে চাই। সবাই নেতা হলে সেই দলের জন্য খবর আছে। আমরা সবাই দল ভুলে গেছি। দলের আদর্শ বিশ্বাস করলে এই বিভেদ ভুলে যেতে হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমাকে যেখানে ডাকা হবে আমি সেখানে যাব। ৩০জুলাই মুসলিম হলে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এমপি এসব কথা বলেন। বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন, বিরোধী দল সরকারের সফলতাগুলোকে ম্লান করে দেয়ার চক্রান্ত করছে। তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোকে জনগণের কাছে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। আজকে বিরোধী দল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমালোচনা করছে। এই কুইক রেন্টাল যদি না করতো তাহলে দেশে বিদ্যুতের হাহাকার শুরু হতো। কুইক রেন্টাল করার কারণে শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ দিতে পারছে। বিনিয়োগ বাড়ছে।
সভাপতির বক্তব্যে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক কাতারে এসেছি। বিদ্বেষী মন নিয়ে দলের জন্য ক্ষতি করা ভালো হচ্ছে না। অনেকে অভিমান করে সভা-সমাবেশে আসছেন না, অনেকে আসছেন। আগামী নির্বাচনে আমাদেরকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। আসুন আমরা সকল মতভেদ ভুলে আগামী নির্বাচনে কিভাবে জয়ী হওয়া যায় তার জন্য কাজ করি। আপনারা যারা নগরীর বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করেছেন আপনারা প্লাটফর্মে এসে নিজ নিজ আসনে কাজ শুরু করুন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চারিদিকে রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা। এগুলোর ঠিক সময়ে সমাধান করতে না পারলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় বের হলে মানুষ মন্দ কথা বলবে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ঠিক মতো কাজ করছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আমার নির্বাচনে (সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন) চক্রান্ত করা হয়েছে। তারপরও আমি তা ভুলে গিয়ে আবার সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছি। আমি মাঠে আছি,থাকবো।
সভায় বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, সহ সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরেশেদ আলম সুজন, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, আবু তাহের, নগর যুবলীগের সভাপতি চন্দন ধর, শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, আবুল মনসুর, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
শফিকুল ইসলাম ফারুকের পরিচালনায় সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন, আলহাজ্ব বদিউল আলম, এম এ রশিদ, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী, শেখ শহীদুল্লাহ আনোয়ার, কাউন্সিলর জহিরুল আলম দোভাস, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আবদুল খালেক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা মো: সফর আলী, নোমান আল মাহমুদ, এম এ জাফর, শহীদুল আলম, এড. এম এ নাছের, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, হাজী মো:ইয়াকুব, আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর, নরুল আবছার মিয়া,মশিউর রহমান চৌধুরী, আলতাব হোসেন চৌধুরী, প্রমূখ।
সভা শেষে ইফতার বিতরণ করা হয়। সভার শুরুতে প্রধান অতিথি বীর বাহাদুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সভার সভাপতি আলহাজ্ব এবি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন