বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১২

মহিউদ্দিন চৌধুরী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে: সাংবাদ সম্মেলনে সাংসদ লতিফ


শওকত চট্রগ্রামঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের  বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বার ভবনের সামনে হামলা ও ভাংচুরের পর দুপুরে চেম্বারের সম্মেলন কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারদলীয় সাংসদ এম এ লতিফ বলেছেন, হামলা এবং ভাংচুরের জন্য মহিউদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। সেখানেও তাকে এ ঘটনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল করার ব্যবস্থা করেছি। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাকে পুরো ঘটনা জানানোর পাশাপাশি আইনগত সহ যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।
 তিনি এসময় পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেন।
সাংবাদ সম্মেলনে সাংসদ লতিফ বলেন,  ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীকে ব্যবহার করে মহিউদ্দিন আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’

পুলিশের সমালোচনা করে সাংসদ বলেন, ‘আমরা যখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম, তখন দেখেছি কিছু লোক হাতে লাঠি নিয়ে মাথায় লাল, হলুদ কাপড় বেঁধে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা ব্যবসায়ীরা ভদ্রলোক। পুলিশ আমাদের মত ভদ্রলোকদের সরে যেতে বলেছে আর লাঠিয়াল বাহিনীকে চেম্বারের সামনে আসার সুযোগ করে দিয়েছে।’
একই সংবাদ সম্মেলনে চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রাক্তন মেয়র বন্দর ঘেরাও, সমাবেশ, মিছিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে বন্দরকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করায় তিনি চেম্বার ঘেরাও কর্মসূচী দিয়েছেন। উনি লাঠিয়াল বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। চেম্বারের সামনে আজ যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নজিরবিহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আমরা তাকেও বিষয়টি জানাব।’
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি’র টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জের ধরে বেশ কিছুদিন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার সকালে একই সময়ে দু’গ্রুপ চেম্বার ভবনের সামনে সমাবেশ আহ্বান করে। কর্মসূচীতে দু’গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ার পর সাংসদ লতিফের উপর মহিউদ্দিনের অনুসারীদের হামলা এবং চেম্বার ভবনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন