সোমবার, জুলাই ৩০, ২০১২

দিশেহারা হয়ে পরেছে সিলেট এম. সি. কলেজের শিক্ষার্থীরা


এস. আই. রতন, সিলেট
২৯জুলাই২০১২
সিলেট বিভাগের শিক্ষার প্রাণকেন্দ্রমূলক প্রতিষ্ঠান এম. সি. কলেজ। প্রতি বছর শুধু সিলেট বিভাগই না দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রীরা পড়তে আসে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশের যে কয়টি সনামধন্য কলেজ আছে তার মধ্যে এম. সি. কলেজ একটি। কিন্তু এই কলেজের শিক্ষার্থীরা কি ঠিকমত শিক্ষা পাচ্ছে? বছরের প্রায় সময়ই কলেজে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, পরীক্ষার কারন সহ আরও নানা কারনে কলেজ বন্ধ থাকে, তাই শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারে না, বাধ্য হয়ে তারা দৌরায় বিভিন্ন শিক্ষকদের বাসায় প্রাইভেট পড়তে। কিন্তু এখন সরকারের নতুন আইনের কারনে শিক্ষকরা প্রাইভেটও পড়াচ্ছেন না। এদিকে কলেজ ছাত্রাবাসে কিছুদিন আগে আগুন ধরানোকে কেন্দ্র করে কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ চলছে, কবে খোলা হবে তারও ঠিক নেই। ঠিক এই অবস্থায় অনার্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। এই বিষয়ে কলেজের গনিত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র বিজয় দাশ আমাদের বলেন, কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ, তাই ক্লাস হচ্ছে না, স্যারেরাও প্রইভেট পরাচ্ছেন না, এদিকে ৮ আগষ্ট থেকে ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা, এর পরপরই আমাদের পরীক্ষা, এই অবস্থায় কি যে করব ভেবে পাচ্ছি না।

শনিবার, জুলাই ২৮, ২০১২

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারই দায়ী।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারই দায়ী। সরকারের যথাযথ মনিটরিং ও দূরদর্শিতার অভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির শিকার সাধারণ মানুষ। এ দায় মাথায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী : চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহছানুলস্নাহ্ বলেছেন, রমজান শুরম্ন হওয়ার সাথে সাথেই চাল,

ডাল, তেল, চিনি ও পিয়াঁজ, ছোলা, মটর এবং বেগুন, লেবু, ধনে পাতাসহ শাক সব্জিরও আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে। গরীব ও দরিদ্র মুসলমান রোজাদারদের চরম ভোগামিত্ম পোহাতে হচ্ছে। সরকার বাজার মনিটরিং এর কথা বললেও সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের সিন্ডিকেটই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগ সরকারই দায়ী। তিনি আরো বলেন, মাহে রমজানে তারাবীহ, খতমে কোরআনসহ ইবাদত বন্দেগী পালন করা প্রত্যেক মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরম্নদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন ও হয়রানি করছে। জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর এক সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। দেওয়ান বাজারস্থ নগর জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী, নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নগর সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরম্নল ইসলাম, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, এসিসটেন্ট সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরম্নল আমিন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা লিয়াকত আখাতর ছিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উলস্নাহ্, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর ।পাঁচলাইশ যুবদল : সংগঠনের এক কর্মীসভা গত ২০ জুলাই থানা কার্যালয়ে সালামত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি কাজী বেলাল উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন মকবুল হোসেন খোকন। বক্তব্য রাখেন এস.এম আজাদ, এম.এ মনসুর, নিজাম উদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. আকতার, মো. সেলিম, চাঁন মিয়া, মো. সালাউদ্দিন, মো. ফারুক, মো. শাহাদাত হোসেন ওয়াসিম, মো. হুমায়ূন কবির, মো. আববাস উদ্দিন, মো. আবদুল মান্নান, জাহেদুল হক রুবেল, আনসারুল হক চৌধুরী, মো. জসিম, মো. হাসান, মো. কামাল হোসেন হৃদয়, মো. আবদুল মান্নান, ইমাম হোসেন ছোটন, মো. শাহজাহান, মো. আইয়ূব খান, মো. মোস্তফা সাগর, মো. জাহাঙ্গীর, মো. জাকির, মো মুরাদ, মো. জাহেদ, মো. মিজান, মো. জলিল, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আবদুল আজিজ, মো. রানা, মো. সাদেক, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী বেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিবাজ, আওয়ামী সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। ঈদের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যুব গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে একদফা আন্দোলনের জন্য যুবদলের নেতা-কর্মীদের প্রস্ত্তত থাকার আহবান জানান। বন্দর যুবদল : সংগঠনের এক কর্মীসভা গত ১৭ জুলাই সংগঠন কার্যালয়ে মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি এম.এ. আজিজ। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সালামত আলী, মাঈনুল আহসান মাসুদ, ফজলুর রহমান, মো. লোকমান, মো. হারুন, আববাস উদ্দিন, সালাউদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, সিরাজ উদ্দিন, মো. আলী, কামরুল, মো. মোর্শেদ, মো. ইকবাল, বেলাল উদ্দিন, এ.কে. আববাস, জোবায়ের, মো. আরজু, আনোয়ার হোসেন, জাহিদ চৌধুরী, মো. জাহেদ, আলআিজম, মো. হোসেন মনা, জাবেদ ইকবাল মিঠু প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। ঈদের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যুব গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের জন্য যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রস্ত্তত থাকার আহবান জানান।-বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামে ঈদোৎসবে মেতে ওঠার অন্যতম পর্যটন স্পট হচ্ছে ফয়'স লেক


মুহাম্মাদ ইসরাফিল মোল্লা:ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে উচ্ছ্বাস, ঈদ মানে দুঃখ ভুলে যাওয়ার দিন। এমন দিনে হারিয়ে যেতেও যেন নেই মানা! ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতি বছর থাকে নানা আয়োজন। প্রতিবারের মতো বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে এবারও রমজানের শেষে আসছে ঈদ। খুশির ঈদে আনন্দ ভাগ করে নিতে নগরবাসীকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়'স লেক এবং ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডসহ নগরীর পর্যটন স্পটগুলো। এসব পর্যটন স্পটে সপ্তাহব্যাপী থাকে ঈদ উৎসবের আমেজ। এসব পর্যটন স্পটে গিয়ে নগরবাসীও যেন খুঁজে পান ঈদের বাড়তি আনন্দ।

'ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ'_ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত এ গান দিয়েই যেন প্রতি বছর ঈদকে বরণ করে নেন সবাই। রমজানের প্রথম দিন থেকেই ঈদের জন্য অপেক্ষার পালা শুরু হয়। সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটে শেষ রোজার পর। রমজানের পুরো মাসব্যাপী তাই ঈদানন্দের আবহ বিরাজ করে। কীভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা হবে তা নিয়ে চলে নানা পরিকল্পনা। নগরীর পর্যটন স্পটগুলোতে বেড়ানোর ভাবনাও থাকে নগরবাসীর সেই পরিকল্পনায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদানন্দ আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে নগরীর মানুষ ভিড় করেন পর্যটন স্পটগুলোতে। ঈদের দিনসহ পরবর্তী প্রায় সপ্তাহব্যাপী নগরীর পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে। বিশেষ করে ফয়'স লেক এবং ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডে প্রতি বছর মানুষের ঢল নামে।
সমুদ্রের তীরে যেতে কার না ভালো লাগে! নগরবাসীরও অন্যরকম ভালো লাগার জায়গা এটি। যে কোনো উৎসবে নগরবাসী ছুটে যায় সাগরপানে। সারা বছরই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষের পদচারণা থাকে। তবে ঈদ এলে এখানে মানুষের ঢল নামে। সাগরপাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্য ডোবার দৃশ্য উপভোগ করা দারুণ আনন্দের। তাই ঈদের বিকেলটা অনেকেই কাটাতে চান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। অবশ্য সন্ধ্যাটা ভীষণ উপভোগ্য হয়ে ওঠে নেভাল একাডেমীর পাশে কর্ণফুলী মোহনার তীরে। এখানে বছরের বন্ধের দিনগুলোতে থাকে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। সন্ধ্যার পর তরুণ-তরুণীরা এই কর্ণফুলী মোহনার তীরে এসে মেতে ওঠেন জম্পেশ আড্ডায়। ঈদের দিন সন্ধ্যায়ও এখানে তরুণ-তরুণীদের ভিড় জমে।
চট্টগ্রামে ঈদোৎসবে মেতে ওঠার অন্যতম পর্যটন স্পট হচ্ছে ফয়'স লেক। শুধু চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পটই নয়, ফয়'স লেক দেশেরও অন্যতম একটি পর্যটন স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও কৃত্রিম সৌন্দর্যের সমন্বয় ঘটিয়ে কনকর্ড গ্রুপ ফয়'স লেককে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত করেছে। অথচ শুরুতে এটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে ওঠেনি। এই লেকের জন্ম হয়েছিল পানি পাওয়ার জন্য। ব্রিটিশ শাসনামলে মিস্টার ফয় নামের এক ইংরেজ সুপেয় পানির জন্য পাহাড়তলীর পাহাড় কেটে জলাধার তৈরি করেন। তার এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওই জলাধারাটির নামকরণ করা হয় ফয়'স লেক। অবশ্য ব্রিটিশ আমলের সেই ফয়'স লেকের সঙ্গে বর্তমান ফয়'স লেকের কোনো মিল নেই। কনকর্ড গ্রুপ ফয়'স লেকের চেহারায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। এ কারণে শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-বৃদ্ধ সববয়সী মানুষের প্রিয় নাম ফয়'স লেক।
কনকর্ড গ্রুপ এই ফয়'স লেকে গড়ে তুলেছে কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড, যা শিশুদের আনন্দ রাজ্য বলে বিবেচিত। এখানে রয়েছে বিভিন্ন রাইডস_ বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, পাইরেটশিপ, কফি কাপ, ড্রাই স্লাইড, ফেরিস হুইল, হ্যাপি জাম্প ও বেবি ফেয়াওসাল।
প্রকৃতির সানি্নধ্যে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে নিরিবিলি সবুজ পরিবেশ। লেক ঘুরে দেখার জন্য নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থাও রয়েছে। লেকের স্বচ্ছ জলরাশি আর দু'পাশে সংরক্ষিত সবুজ জঙ্গল দেখতে দেখতে কখন যে আনমনা হয়ে পড়বেন টেরই পাবেন না। সবমিলিয়ে নগরজীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ফয়'স লেক অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এদিকে ঈদ উপলক্ষে ফয়'স লেকে প্রবেশ করলেই দেওয়া হবে লাকি কুপন। ভাগ্য ভালো থাকলে পেয়ে যেতে পারেন ফ্রিজ, টিভি কিংবা মোবাইল সেট। এছাড়াও ১৭ সেপ্টেম্বর ফয়'স লেকে থাকবে জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট।
তরুণ-তরুণীদের কাছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান বলে বিবেচিত হয় ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড। দেশের সর্ববৃহৎ ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডে অনেক মজার মজার রাইডস রয়েছে। স্লাইড ওয়ার্ল্ড, টিউব স্লাইড, মাল্টি স্লাইড, ডোম স্লাইড, ওয়েবপুল, ফ্যামিলি পুল, পেল্গ-জোন, ড্যান্সিং জোনসহ রয়েছে অনেককিছু। এর চেয়ে যেন মজার জায়গা ওয়েভপুল। সাগরের ঢেউয়ের মতো কৃত্রিম ঢেউ খেলে এখানে। আর সেই ঢেউয়ে নেচে-গেয়ে ওঠেন আগতরা। এখানে সারাদিন পানি নিয়ে খেলা করাটা অন্যরকম এক ভালো লাগার অনুভূতি এনে দেয়।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডে চলবে ডিজে শো। তাই নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়, ঈদের আনন্দ আরও পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে মানুষের ঢল নামবে এই সি ওয়ার্ল্ডে। এছাড়া ঈদের লম্বা ছুটি ঘরের বাইরে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে যাদের তাদের জন্য রয়েছে ফয়'স লেক রিসোর্ট। মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর আদর্শ স্থান এটি। প্রকৃতি ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটেছে যেন ফয়'স লেক রিসোর্টে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে রয়েছে ব্যালকনি। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যাবে হ্রদ, পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য। এখানে থেকেই চেখে নিতে পারেন দেশি-বিদেশি মজাদার খাবার। নগরবাসীকে বাড়তি আনন্দে মাতিয়ে রাখতে ঈদে ফয়'স লেক ও সি ওয়ার্ল্ডে বিশেষ আয়োজনের কথা উলেল্গখ করে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট
লিমিটেডের সহকারী ম্যানেজার (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ
সাংবাদিককে বলেন, 'নগরবাসীর মধ্যে ঈদানন্দ ছড়িয়ে দিতেই ফয়'স লেক ও সি ওয়ার্ল্ডে কনসার্ট ও ডিজে শোসহ বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আনন্দ যাতে সবাই প্রাণভরে উপভোগ করতে পারেন সেজন্যই বিশেষ এ আয়োজন।'

শনিবার, জুলাই ২১, ২০১২

রমযানকে স্বাগত জানিয়ে চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন শহরে শিবিরের বর্ণাঢ্য র‌্যালি।



মুহাম্মাদ ইসরাফিল মোল্লাঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন বলেন, রমজান আসার পুর্বেই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে জনগনেরঅবস্থা শোচনীয়। জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের জনগন রমযান মাসের আগেই কুরআনেরসৈনিক জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তি চায়। জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী রমযানের পূর্বেই তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।
মাহে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বর্ণাঢ্য ্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি কথা বলেন। আজ সকাল .৩০ টায়রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে ্যালি শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। শিবির সভাপতি ্যালিতে নেতৃত্বদেন। ্যালিতে আরো অংশ নেন দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম, প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো.ইয়াহইয়া, কলেজ সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, এইচআরডি সম্পাদক মো. ইয়াছিন আরাফাত, অর্থ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম,ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. দেলওয়ার হোসেনসহ ঢাকা মহানগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, রমযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। কুরআনের এই মাসে কুরআনের সৈনিকরা কারাগারে বন্দী থাকবেন এটা দেশ জাতিরজন্য অপমানজনক। ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতা জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে রাজপথে নেমেছে। যদি তাদেরকে মুক্তি না দেয়া হয় তাহলেদেশব্যাপী যে ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটবে তা সামলানো সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, রমযান আসার প্রাক্কল্যেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সত্যিই হতাশাজনক। দ্রব্যমূল্য রমযানে জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে রাখতে সরকারকোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। সরকারকে এখনই বিষয়টি সর্বোচ্চ মনযোগ দিয়ে দেখতে হবে।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, কুরআন নাযিলের মাসকে কুরআন শিক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। কুরআনের শিক্ষা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতেতৎপর হতে হবে। সমাজ দেশে সুখ আনতে কুরআনের আদর্শের বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। কুরআনের সমাজ গঠনের লক্ষে দেশবাসীকেঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে যেতে হবে।