শনিবার, জুলাই ২১, ২০১২

চট্টগ্রাম শিক্ষার্বোডে বেড়েছে পাশের হার: এগিয়ে ছাত্রীরা, শীর্ষে ফৌজদার হাট ক্যাডেট।

এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে। একই সাথে পাসের হারও বেড়েছে এবার। ফলাফলে গ্রাম-শহরের ব্যবধানও কমেছে।(১৮জুলাই) বুধবার চট্টগ্রাম বোর্ডসহ সারাদেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল একযোগে প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৭২ দশমিক ২৯। গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৫। এবার পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ২৪ । ২০১০ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৭১। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৪৫ জন। গতবার পেয়েছিল ১৮০২ জন। গতবারের তুলনায় এবার বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ১৩৪৩। ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬২৪ জন।গত তিন বছরের পাসের হার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে উত্থান-পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে তা খুবই সামান্য পরিমাণে।

প্রসঙ্গত: গত বছর ২৭ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭৯৫ জন। পুন:নিরীক্ষণের ফলাফলে আবার ৭ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ আসায় সেগুলোও যোগ করে ১৮০২ হয়েছে। একইভাবে ২০১০ সালে প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ ছিল ১৬১৮ জন। কিন্তু পুন:নিরীক্ষণের পর ৬ জন বেড়ে তা দাঁড়ায় ১৬২৪ জনে।

পুন:নিরীক্ষণের কারণে গত দুইবারের পাসের হারের হিসেবেও কিছুটা তারতম্য হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড থেকে গতকাল সরবরাহ করা গত দুইবারের ফলাফল সংক্রান্ত তথ্যকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা কলেজের তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এরপর যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ। পাঁচটি মানদণ্ডে ৮৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সেরা হয়েছে। এ তালিকায় ৮৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ। ৮২ দশমিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে সরকারি কমার্স কলেজ। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে অংশ নেয়া ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অংশ নেয়া ৭৫৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭শ ৪৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৫ জন। সরকারি কমার্স কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট ৭৪৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭৪২ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৩ জন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, গতবারের মতো এবারও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের পেছনে ফেলেছে মেয়েরা। ২০১০ সালের ফলাফলেও ছেলেদের তুলনায় বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছিল মেয়েরা।

এবার ৩১৪৫ টি জিপিএ-৫ এর মধ্যে মেয়েরা দখল করেছে ১৫৮৭ টি এবং ছেলেরা দখল করেছে ১৫৫৮ টি। গতবার এক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৯২০ । আর ছেলেদের সংখ্যা ছিল ৮৮২ ।

এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ জন ছাত্র-ছাত্রী। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০২৪ ছাত্রছাত্রী।

এবারে পাস করেছে মোট ৩৯ হাজার ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে ছাত্র ১৯ হাজার ৯শ ১৭ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ছাত্রী পাস করেছে ১৯ হাজার ৯৪ জন । পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এবারের ফলাফলে পাসের হারের দিক দিয়েও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। গতবার ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০১০ সালের পাসের হারেও ছাত্রীরা ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে ছিল।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থী ছিল মোট ৫৪ হাজার ৫শ ৪৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় শেষতক অংশ নেয় ৫৩ হাজার ৯শ ৬৮ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ২৭ হাজার ৯শ ১২ জন এবং ছাত্রী হচ্ছে ২৬ হাজার ৫৬ জন।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোট ১০ হাজার ২শ ২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭ হাজার ৮শ ৬৬ জন। বিজ্ঞানে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে ছাত্র পাস করেছে ৪ হাজার ৬শ ১৮ জন এবং ছাত্রী পাস করেছে ৩ হাজার ২শ ৪৮ জন। এক্ষেত্রে ছাত্রদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে গতবার পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এ বিভাগে এবার পাসের হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।

মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেয়া মোট ১৬ হাজার ৮শ ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এবার পাস করেছে ১০ হাজার ১শ ৮৭ জন। এ শাখায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৫১ শতাংশ। ছাত্র পাস করেছে ৩ হাজার ৭শ ৪৬ জন। ছাত্রী পাস করেছে ৬ হাজার ৪শ ৪১ জন। এ ক্ষেত্রে ছাত্রদের পাসের হার ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মানবিক বিভাগে গতবার পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এবার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট ২৬ হাজার ৯শ ৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট পাস করেছে ২০ হাজার ৯শ ৫৮ জন ছাত্র-ছাত্রী। এ বিভাগে পাসের হার হচ্ছে ৭৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ বিভাগে ছাত্র পাস করেছে ১১ হাজার ৫শ ৫৩ জন এবং ছাত্রী পাস করেছে ৯ হাজার ৪ শতাংশ ৫ জন। এক্ষেত্রে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ বিভাগে গতবারের ফলাফলে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এবার তা সামান্য কমে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে কমেছে শুন্য দশমিক ৮০ শতাংশ।

গতকাল বুধবার বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।

ফলাফলের ব্যাপারে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এবারের ফলাফল নিয়ে সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ এবারের ফলাফলে গ্রাম - শহরের ব্যবধান কমেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রেকর্ড হয়েছে। বেড়েছে পাসের হারও। সুতরাং ফলাফল নিয়ে আমাদের সন্তুষ্টির পরিধি বেড়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে সরবরাহ করা ফলাফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৬ হাজার ৩শ ২৯ ছাত্রের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১শ ১ জন। ৩ হাজার ৮শ ৯৫ জন ছাত্রীর মধ্যে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯শ ২৮ জন । জিপিএ-৪ থেকে ৫ পর্যন্ত পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে মোট ২ হাজার ৬শ ১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ১ হাজার ৪শ ৪৯ জন এবং ছাত্রী হচ্ছে ১ হাজার ১শ ৫২ জন। জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ পর্যন্ত পেয়েছে ১ হাজার ৩শ ২০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ৭শ ৮৫ জন এবং ছাত্রী হচ্ছে ৫শ ৩৫ জন। জিপিএ- ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ পর্যন্ত পেয়েছে ১ হাজার ২৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র রযেছে ৬শ ৪৪ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ৩শ ৮০ জন। জিপিএ-২ থেকে ৩ পর্যন্ত পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে ৮শ ৭০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৬শ ২২ জন এবং ছাত্রী ২শ ৪৮ জন। জিপিএ-১ থেকে ২ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ২২ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ১৭ জন এবং ছাত্রী ৫ জন।

বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা গেছে, মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেয়া ৬ হাজার ২শ ৩০ জন ছাত্রের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন এবং ১০ হাজার ৬শ ৫জন ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ জন। মানবিক বিভাগ থেকে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ জন। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ থেকে ৫ পযর্ন্ত পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে ১ হাজার ২শ ৯৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ৪শ ২৭ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৮শ ৬৬ জন।

জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ১ হাজার ৫শ ৮৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। এখানে ছাত্র ৫শ ৫৬ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ৩৩ জন। জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ২ হাজার ১শ ৩২ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ৭শ ৫০ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ৩শ ৮২ জন। জিপিএ-২ থেকে ৩ পর্যন্ত পেয়েছে ৪ হাজার ৩৮ জন। এখানে ছাত্রদের সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৫শ ১৬ জন এবং ছাত্রী ২ হাজার ৫শ ২২ জন। জিপিএ-১ থেকে ২ পর্যন্ত পেয়েছে ১ হাজার ৪৩ জন। এখানে ছাত্র ৪শ ৫৮ এবং ছাত্রী ৫শ ৮৫ জন।

এদিকে এবারের ফলাফলে ব্যবসায় শাখা থেকে অংশ নেয়া ১৫ হাজার ৩শ ৫৩ জন ছাত্রের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪শ ১৮ জন এবং ১১ হাজার ৫শ ৫৬ জন ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬শ ৬ জন। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ হাজার ২৪ জন। জিপিএ-৪ থেকে ৫ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ৫ হাজার ৩০ জন। এখানে ছাত্র ২ হাজার ৩শ ৭৯ জন এবং ছাত্রী হচ্ছে ২ হাজার ৬শ ৫১ জন। জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ৩ হাজার ৮শ ৬৯ জন। এখানে ছাত্র রয়েছে ২ হাজার ৬৩ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ১ হাজার ৮শ ৬ জন। জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ পর্যন্ত পেয়েছে পেয়েছে মোট ৩ হাজার ৯শ ৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এখানে ছাত্র রয়েছে ২ হাজার ২শ ৮৮ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ১ হাজার ৬শ ৮৬ জন। জিপিএ-২ থেকে ৩ পর্যন্ত পেয়েছে মোট ৫ হাজার ৯শ ৭০ জন। এখানে ছাত্র ৩ হাজার ৬শ ৬৩ জন এবং ছাত্রী ২ হাজার ৩শ ৭ জন। এ বিভাগে জিপিএ-১ থেকে ২ পযর্ন্ত পেয়েছে ১ হাজার ৯১ জন। এখানে ছাত্র ৭শ ৪২ জন এবং ছাত্রী ৩শ ৪৯ জন।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১শ ৯১ টি কলেজের উল্লেখিত সংখ্যক পরীক্ষার্থী ৮৮ টি কেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য বসে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবারের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৫শ ৮১ জন। ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে ২ জনের। বহিস্কৃত হয়েছে এবার ৬৬ জন। তাদের মধ্যে খাতা জালিয়াতির ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে বহিস্কার করা হয়েছে ১৮ জনকে। ড. পীযূষ দত্ত জানান, ওই ১৮ পরীক্ষার্থী রাঙ্গামাটির নানিয়ার চর কলেজ কেন্দ্রের।

এদিকে পাসের হার শুন্য এ ধরনের কলেজের সংখ্যা এবার একটিও নেই। গতবারও ছিলনা। ফলাফলের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখর দস্তিদার বলেন, নকল প্রবণতাহীন এ সময়ে পড়ালেখার যে পরিবেশ গড়ে উঠেছে এবারের ফলাফল তারই প্রতিচ্ছবি। এদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রকাশিত ফলাফলে কোন ভুলত্রুটি বা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে ফলাফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তা লিখিতভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করতে হবে। পরে আবেদনের কোন সুযোগ থাকবেনা।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৬ জুলাই পযর্ন্ত সময়ের মধ্যে এসএমএস এর মাধ্যমে খাতা পুন:নিরীক্ষনের আবেদন করা যাবে বলে জানান ড. পীযূষ দত্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন